রাশিয়া কেন ইউক্রেন আক্রমণ করল এবং পুতিন কি চাচ্ছেন?
ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ইউক্রেন। চার কোটি চল্লিশ লক্ষ জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই দেশটিতে স্থল, নৌ ও আকাশপথের সবখানে বর্তমানে রাশিয়া এক ভয়ানক ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালাচ্ছে । রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ইউক্রেনের সিটি সেন্টারে ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করছে এবং এর রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে যা দেশটিতে ব্যাপক হারে শরণার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। অতীতে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অস্বীকার করে যাচ্ছিলেন যে তিনি তার প্রতিবেশী কে আক্রমণ করবেন। কিন্তু তিনি শান্তি চুক্তি ভঙ্গ করে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্ব এবং দক্ষিণ প্রান্তে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানো শুরু করেন। রাশিয়ার এ কাজকে জার্মানি পুতিনের যুদ্ধের পূর্বাভাস বলে অভিহিত করেছেন।
ইউক্রেনে ক্রমাগত মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় রাশিয়ার নেতার এই নীতিকে ইউরোপের শান্তি বিঘ্নিত করার জন্য অভিযুক্ত করা হচ্ছে । এ ঘটনার প্রেক্ষাপটে পরবর্তীতে যা ঘটবে তাতে সমগ্র মহাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
কেন আক্রমণ করলো রাশিয়ান বাহিনী :
গত 24 ফেব্রুয়ারি খুব ভোর বেলায টেলিভিশনে পুতিন ঘোষণা করেন যে আধুনিক ইউক্রেন তার জন্য ক্রমাগত হুমকিস্বরূপ যে কারণে তিনি তার দেশকে মোটেও নিরাপদ মনে করেন না। ঐদিনই তাৎক্ষণিকভাবে রাশিয়া, রাশিয়ার সাথে সংযুক্ত ক্রিমিয়া ও মিত্র দেশ বেলারুশের ট্যাংক ও সাজোয়া বাহিনী ইউক্রেনের বিমানবন্দর ও সেনা অধিদপ্তরে আক্রমণ শুরু করে। বর্তমানে অসংখ্য যুদ্ধ বিমান দেশটির বড় শহরগুলোতে আঘাত হানা শুরু করেছে।
এত দূর এগোনোর পরও রাশিয়া তাদের এই পদক্ষেপকে "যুদ্ধ বা আক্রমণ" হিসেবে অভিহিত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। দেশটির অধিকাংশ নেতার এধরণের আত্মপক্ষ সমর্থন সম্পূর্ণ মিথ্যা ও অযৌক্তিক।
পুতিন দাবি করেন যে, তাঁর লক্ষ্য হল ইউক্রেনের যেসকল মানুষ গণহত্যা ও অবমাননার স্বীকার তাদেরকে রক্ষা করা এবং সামরিক আগ্রাসন ও নাৎসিবাদকে নস্যাত করা। অবশ্য ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলদেমির জেলনস্কি বলেছেন, "ইউক্রেনের কোথাও গণহত্যা হয়নি, আমাদের এটা একটা চমৎকার গণতান্ত্রিক দেশ ।" দেশটির ইহুদি ধর্মের অনুসারি এই প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমি কিভাবে নাৎসি হলাম?" তিনি তাঁর দেশে রাশিয়ার এই আক্রমণকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনীর আক্রমণের সাথে তুলনা করেন। ইউক্রেনের ইহুদিদের ধর্ম গুরু এবং সংখ্যালঘু সংগঠনও রাশিয়ার অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেন।
No comments:
Post a Comment
to drop Your valuable Comment please mention your name (Click to arrow sign and select name/url)