Right Click n Copy Disabled

Ads block

Banner 728x90px

BPE: Organization & Mgt. Short Notes


OM Logo
JAIBB হ্যান্ড নোট- ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা 
 
  গুরুত্বপূর্ণ  টীকাসমূহ   

Text Jumping effect

JAIBB সংক্ষিপ্ত প্রস্তুতি- Governance in Financial Institute

ব্যবস্থাপনা তথ্য ব্যবস্থা:

ব্যবস্থাপনা তথ্য পদ্ধতি হল বিভিন্ন উপাত্ত লিপিবদ্ধকরন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াকরনের মাধ্যমে তথ্য ভান্ডার তৈরী করার নিমিত্তে তথ্য প্রযুক্তি, মানুষ এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়ার ব্যবহার যা নীতি নির্ধারকগন প্রতিদিনের সিদ্ধান্ত নিতে ব্যবহার করতে পারেন। MIS-এর পূর্ণরূপ হল ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম। এমআইএস-এর উদ্দেশ্য হল বিভিন্ন উৎস থেকে উপাত্ত বের করা এবং এমন অন্তর্দৃষ্টি লাভ যা ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে চালিত করে।

ম্যানেজাররা একটি এমআইএস ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরি করে যা তাদের দৈনিক বিবরণী থেকে শুরু করে শীর্ষ-স্তরের কৌশল পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যের একটি ধারণাগত রুপরেখা প্রদান করে। আজকের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমগুলি তথ্য সংকলন এবং উপস্থাপন করার জন্য প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে, তবে ধারণাটি আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তির চেয়ে অনেক পুরানো।

কার্য বিশ্লেষণ (Job Analysis):

কার্য বিশ্লেষণ মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ এবং কর্মী সংগ্রহ ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ। সাধারণভাবে বলা যায়, যে পদ্ধতি বা কৌশলের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদের কাজ সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করা যায় তাকে কার্য বিশ্লেষণ বলে। এর মাধ্যমে পদ ও পদের সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যাবলি এবং উক্ত কর্মপরিসরে কর্মীর শিক্ষা, জ্ঞান, দক্ষতা, দায়িত্ববোধ, ব্যক্তিগত গুণাবলি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদান সম্পর্কে জানা যায়। অর্থাৎ কার্য বিশ্লেষণ হলো এক প্রকার বিশেষ কর্মসূচি যার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদের বিপরীতে কার্য এবং তা সম্পাদনকারী কর্ম উপাদান সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান লাভ করতে পারে।

Gary Dessler এর মতে, “কার্য বিশ্লেষণ হলো একটি পদের কাজগুলো নির্ধারণ এবং কোন ধরণের বৈশিষ্ট সম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে এসব পদ পূরণের জন্য সংগ্রহ করা হবে তা নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া।”

চুড়ান্তভাবে তাই বলা যায়, কার্য বিশ্লেষণ হলো এক প্রকার পদ্ধতি বিশেষ যার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট পদ বর্ণনার সাথে সাথে কার্য সম্পাদনের জন্য কর্মীর প্রয়োজনীয় জ্ঞান, যোগ্যতা ও দক্ষতা. অভিজ্ঞতা অন্যান্য মানবিক গুনাবলি সম্পর্কে  নিখুঁত ধারণা লাভ করা যায়। পাশাপাশি কর্ম পরিসর ও কার্য পরিসর সম্পর্কে বর্ণনা থাকে। এক কথায়, যে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদের জন্য কর্মীকে কি কাজ করতে হবে এবং কিভাবে করতে হবে তা জানা যায় তাই কার্য বিশ্লেষণ নামে পরিচিত।

স্কেলার চেইন:

স্কেলার চেইন হল ব্যবস্থাপনার fayols  এর ১৪ টি নীতির একটি অংশ। যোগাযোগ প্রতিটি সংস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, এবং স্কেলার চেইন ধারণাটি ব্যবস্থাপনার  সর্বোচ্চ স্তর  থেকে সংস্থার সর্বনিম্ন স্তরে তথ্যের প্রবাহর উপর আলোকপাত করে। স্কেলার চেইন সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা থেকে সর্বনিম্ন-র‌্যার্ঙ্কিং এর কর্মচারী পর্যন্ত সব সুপারভাইজার নিয়ে গঠিত

প্রতিটি সংস্থার লক্ষ্য পূরণের জন্য, যোগাযোগের একটি পরিষ্কার মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ। যোগাযোগ কার্যকর হওয়ার জন্য, তথ্যের অবশ্যই প্রবাহিত হতে হবে। ফেয়ল যে বিষয়টির উপর জোরারোপ করেছেন তা হল, ঊর্ধ্বতনদের আদেশ বাস্তবায়ন এবং অধস্তনদের অনুভূতির স্পষ্ট করার জন্য নীতি অনুসারে, সংগঠনের সমস্ত তথ্য সুপারভাইজার থেকে সর্বনিম্ন অবস্থানে থাকা ব্যক্তির কাছে  পৌছাতে অবশ্যই  পূর্ব-নির্ধারিত এই পথ বা চেইন অনুসরণ করা উচিত।

কখনও কখনও ব্যবসায়িক সমস্যার অবিলম্বে সমাধান প্রয়োজন হয়। তাই আমরা সবসময় প্রতিষ্ঠিত স্কেলার চেইনের উপর নির্ভর করতে পারি না। সংগঠনের বিরূপ পরিস্থিতিতে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।

 কৌশলগত ব্যবসা ইউনিট :

স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ইউনিট (এসবিইউ) হল একটি প্রতিষ্ঠানের একটি সাবইউনিট যা অনেকাংশে একটি স্বাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করতে পারে। একটি সাব ইউনিটের স্বতন্ত্র ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে: তাদের কৌশলগত ধারণা তৈরি করার ক্ষমতা, বিপণন কৌশল বিকাশ করা এবং এমনকি তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি করা।

মূল সংস্থা প্রতিটি বিভাগকে কী অনুমতি দেয়, তার উপর ভিত্তি করে একটি কৌশলগত ব্যবসায়িক ইউনিট কাঠামোকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। একটি বড় সংগঠনের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বহুজাতিক কোম্পানির জন্য, একটি মাত্র ব্র্যান্ড পরিচয় থাকা আবশ্যিক নয়। যেমন: স্কিটো গ্রামীন ফোনের ইন্টারনেট সুবিধা আকর্ষণ করার জন্য একটি পৃথক ব্রান্ড। সোনালী ব্যাংকের ইসলামিক উইন্ডো নামে একটি পৃথক ব্যাংকিং ব্যবস্থা। বৈচিত্র্য আনয়ন, একটি নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য সম্বলিত পণ্যর উপর গুরুত্বারোপ এবং প্রতিযোগিতামূলক বাজারের মনোযোগ সরিয়ে দেয়ার জন্য  SBU কাঠামো ব্যবহার করা হয়। তবে এসবিইউ গঠন করা সবার ব্যবসার জন্য সঠিক নাও হতে পারে।

Gantt চার্ট :

Gantt চার্ট হল একটি প্রকল্পের সময়সূচীর সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি গ্রাফিক্যাল চিত্রণ। এটি এক ধরণের বার চার্ট যা একটি প্রকল্পের উপাদান যেমন সম্পদ, পরিকল্পনা এবং নির্ভরশীলতার শুরু এবং সমাপ্তির তারিখগুলি দেখায়। হেনরি গ্যান্ট নামের একজন আমেরিকান যান্ত্রিক প্রকৌশলী, এই গ্যান্ট চার্ট ডিজাইন করেছিলেন।

একটি Gantt চার্ট হল চিত্রের মাধ্যমে অনুধাবন যা একটি প্রকল্পের নির্দিষ্ট কাজ এবং সংস্থাপনার সময় নির্ধারণ, পরিচালনা এবং নিরীক্ষণ করতে সহায়তা করে। এটি প্রতিটি কাজের অগ্রগতি চিত্রিত করে কার্যসমূহের তালিকা এবং স্তম্ভ নিয়ে গঠিত হয়। 

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় সর্বাধিক ব্যবহৃত চার্ট হল Gantt চার্ট ।গ্যান্ট চার্টগুলি ভারী শিল্প যেমন: বাঁধ, সেতু এবং মহাসড়ক নির্মাণের পাশাপাশি সফ্টওয়্যার উন্নয়ন এবং অন্যান্য পণ্য ও পরিষেবা তৈরির মতো প্রকল্পগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়।

govern in Fin
আন্তঃশাখা সমণ্বয়:

আন্তঃশাখা সমণ্বয় হল, ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি প্রধান কার্যকলাপ যার মাধ্যমে একটি ব্যাংকের বিভিন্ন শাখা এবং তাদের লেনদেনের মধ্যে সুষম সমন্বয় তৈরি করা হয়। বাণিজ্যিক কার্যক্রম এবং অর্থ বৃদ্ধি  পাওয়ার সাথে সাথে সমস্ত শাখার কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় করা একটি কঠিন কাজ হয়ে ওঠে। এই পরিপ্রেক্ষিতে,ব্যাংকগুলির জন্য তাদের সম্পদ রক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অবহেলার কারণে লেনদেনে জালিয়াতি বা ত্রুটি ঘটলে একটি ভাল ব্যাঙ্ক রিকনসিলিয়েশন সিস্টেম তাদের সনাক্ত করতে সাহায্য করে। একবার চিহ্নিত হয়ে গেলে, খুব কম সময়ে ত্রুটিগুলি সংশোধন করা যায় বা ক্ষতি এড়ানোর জন্য খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

 অতএব,যে কোন ব্যাংকে একটি দক্ষ এবং শক্তিশালী আন্তঃশাখা সমণ্বয় বা আইবিআর সিস্টেম থাকা অপরিহার্য হয়ে ওঠে, যা সঠিকতার সাথে বিপুল পরিমাণ উপাত্ত পরিচালনা করতে পারে এবং নমনীয়তার সাথে বিচ্যুতিগুলি উদ্ঘাটন করতে পারবে।

বেঞ্চমার্কিং :

বেঞ্চমার্কিং হল একটি কোম্পানীর পণ্য পরিষেবা বা পদ্ধতির বিপরীতে শিল্পক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত অন্য একটি প্রতিষ্ঠা‌নের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করার একটি প্রক্রিয়া। বেঞ্চমার্কিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হল উন্নতির জন্য অভ্যন্তরীণ সুযোগগুলি চিহ্নিত করা। বেঞ্চমার্কি একই ধরনের ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে তুলনা করে প্রতিষ্ঠানের কর্ম দক্ষতা বুঝতে সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এমনকি যদি একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ব্যবসায় থাকে বা গ্রাহকদের একটি ভিন্ন গ্রুপ থাকে। ব্যবস্থাপক একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা কীভাবে কাজ করে তার সাথে সেই প্রক্রিয়াগুলি তুলনা করে, বিভিন্ন রকম পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে পারেন যা প্রতিষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটায়৷

বেঞ্চমার্কিং এর মাধ্যমে প্রতিযোগীর অফারগুলির সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার জন্য একটি পণ্যের বৈশিষ্ট্যগুলিকে ঈষৎ পরিবর্তন করা, বা বিদ্যমান পরিষেবাগুলির সুযোগ সুবিধা পরিবর্তন করা, বা গ্রাহকদের সাথে আরও ব্যক্তিগতকৃত যোগাযোগ সক্ষম করতে একটি নতুন গ্রাহক সম্পর্ক ব্যবস্থাপনা (CRM) প্রবর্তন করা হয়।

সিনার্জি:(যৌথ প্রচেষ্টা)

সিনার্জি হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে ব্যক্তি বা সংস্থাগুলি আরও বেশি উত্পাদনশীলতা, কার্যকারিতা এবং কর্মক্ষমতা অর্জনের জন্য তাদের সম্পদ এবং প্রচেষ্টাকে একত্রিত করে যা তাদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। অন্য ভাবে বলা যায়, সিনার্জি হল যখন দুই বা ততোধিক সংস্থা একটি সম্মিলিত প্রভাব তৈরি করতে পারস্পরিক যোগাযোগ বা সহযোগিতা করে যা তাদের পৃথক অংশের যোগফলের চেয়ে বেশি। গাণিতিক ভাষায়, একটি সমন্বয় হল যখন 2 + 2 = 5

একীভূতকরণ এবং অধিগ্রহণ হল এর সর্বোত্তম উদাহরণ যেখানে নতুন কোম্পানি দুটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে আলাদাভাবে বেশি মূল্য প্রদান করবে। শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে একত্রীকরণ এবং অধিগ্রহণ (M&A) করা হয়। দুটি ব্যবসা একীভূত হয়ে অপ্রয়োজনীয় পদ্ধতি পরিহার করে লাগসই প্রক্রিয়া চালু করতে সক্ষম হয়,যার ফলে উল্লেখযোগ্য খরচ হ্রাস পায়। ফলস্বরূপ, একটি কোম্পানি গঠন করায় তারা আরো বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারে যা পৃথকভাবে সম্ভব নয়

শিল্প সম্পর্ক :

শিল্প সম্পর্ক হল, ব্যবস্থাপনা ও কর্মীদের মধ্যে সম্পর্ক এবং যে কোনও শিল্প বিরোধ সমাধানের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভূমিকা।

নাম থেকে বোঝা যায়, শিল্প সম্পর্ক দুটি শব্দ নিয়ে গঠিত, শিল্প এবং সম্পর্ক। যেখানে শিল্প বলতে উৎপাদন ক্রিয়াকলাপের সাথে জড়িত যেখানে এক দল শ্রমিক নিযুক্ত থাকে, এবং সম্পর্ক বলতে শিল্প কারখানার মধ্যে ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক বুঝায়। IR আজকের কাজের পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যেখানে একটি নিরবচ্ছিন্ন উত্পাদনের জন্য নিয়োগকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সম্পর্ক প্রয়োজন। শিল্প সম্পর্ক প্রধানত নিম্নলিখিত বিষয়ের সাথে জড়িত।

 ·       শিল্প বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
·       যৌথ দরকষাকষি.
·       ব্যবস্থাপনা, ইউনিয়ন এবং সরকারের ভূমিকা.
·       শ্রম আইন
·       শ্রমিকের অভিযোগ নিষ্পত্তি ব্যবস্থা।
·       শৃঙ্খলামূলক নীতি এবং অনুশীলন।
·       শিল্প সম্পর্ক প্রশিক্ষণ.   
  

ক্রেডিট রেটিং (Credit Rating):

ক্রেডিট রেটিং হচ্ছে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির ঋণ গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করার প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে কোন কোম্পানি যথাসময়ে দেনা বা ঋণ পরিশোধ করার ক্ষমতা যাচাই করা হয়। বাংলাদেশে BSEC আওতাভুক্ত টি ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি আছে।

ক্রেডিট রেটিং কোম্পানির কাজ হলো কোম্পানির ব্যবস্থাপনা, স্বল্পকালীন দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক স্বচ্ছলতা পর্যালোচনা করে রেটিং দেয়া। কোম্পানি ভেদে রেটিং এর প্রতীক ভিন্ন হয়। মূলত AAA, AA, A, BBB, BB, B এবং C বিভাগে রেটিং করা হয়।

নৈতিকতা: 

নৈতিকতার ইংরেজি শব্দ ‘Ethics’ যা ‘Ethos’ হতে এসেছে যার অর্থ চরিত্র বা রীতি নীতি। বর্তমানকালে এই ইথস শব্দটি বিশেষ প্রবণতা, বিশেষ লোকের মনোভাব, চরিত্র, সংস্কৃতি প্রভৃতি প্রকাশ করতে ব্যবহার করা হয়। নৈতিকা মানুষের আচরণকে চালিত করে এমন কিছু বিষয়কে চিহ্নিত করে যা সমাজের কাছে প্রত্যাশিত। নৈতিকতা হলো আচরণগত মান এবং নৈতিক বিচার যা সঠিক ভুলের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।

বৃহদার্থে বলা যায়, নৈতিকতা মানুষের আচরণের এমন কিছু মৌলিক রীতি নীতি বা মাপকাঠি নির্ধারণ করে দেয়, যাতে প্রতিটি কাজ গ্রহণযোগ্য পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে নৈতিকতার কতিপয় বৈশিষ্ট পরিলক্ষিত হয়। যেমন:
নৈতিকতা হলো ভুল  সঠিক এর মধ্যে তুলনাকরণ;
এটি আত্মিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টি করে;
এটি প্রতিষ্ঠান  সমাজের প্রতি জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে এবং
এটি ভাল  মন্দের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করে।

সুতরাং বলা যায় যে, নৈতিকতা হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে ভাল মন্দের পার্থক্য নির্ণয় করতঃ সমাজ প্রতিষ্ঠানের প্রতি ন্যায্যতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হয়।

ব্যবসায়িক নৈতিকতা:

ব্যবসায়িক নৈতিকতা বলতে ব্যবসায় নীতিগতভাবে সঠিক এবং ভুল আচরণের আদর্শ মানসমূহকে বোঝায়। আইন আংশিকভাবে আচরণকে সংজ্ঞায়িত করে, কিন্তু "আইনসিদ্ধ" এবং "নৈতিক" স্পষ্টত এক কথা নয়। ব্যবসায়িক নৈতিকতা সরকারী নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে গ্রহণযোগ্য আচরণের রূপরেখা দিয়ে আইনকে সমৃদ্ধ করে।

বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের মধ্যে সততা প্রসার ঘটাতে এবং বিনিয়োগকারী এবং ভোক্তাদের মতো মূল স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে আস্থা অর্জনের জন্য ব্যবসায়িক নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করে। যদিও কর্পোরেট নৈতিকতা কার্যক্রম আজকাল সব প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়,তবে এর গুণমানের মধ্যে তারতম্য রয়েছে। ২০১৮ সালের গ্লোবাল বিজনেস এথিক্স সার্ভে (GBES) অনুসারে, প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মার্কিন কর্মী মনে করেন যে তাদের কোম্পানিতে  নৈতিকতা কার্যক্রমের চমৎকার বাস্তবায়ন রয়েছে।

সুতরাং বলা যায় যে, ব্যবসায় নৈতিকতা হলো এমন একটি পদ্ধতি যাতে ব্যবসায়ের কার্যক্রমে নৈতিক জ্ঞান নীতি প্রয়োগ করত: ভাল মন্দ শুদ্ধাশুদ্ধি যাচাই করা যায়। অর্থাৎ ব্যবসায়ের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নৈতিকতার ব্যবহারকে ব্যবসায় নৈতিকতা বলে।

ভার্চুয়াল সংগঠন:

সংগঠনের একটি নতুন রূপ, ভার্চুয়াল সংগঠন । 1990 সালে এর আবির্ভাব হয় এবং এটি ডিজিটাল সংগঠন’, নেটওয়ার্ক সংগঠন’ বা মডুলার সংগঠন’ হিসাবেও পরিচিত। সহজভাবে বলতে গেলে, একটি ভার্চুয়াল সংগঠন হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরী একটি সহযোগিতার নেটওয়ার্ক, যা নমনীয় এবং গতিশীল বাজারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়। এটা এমন একটি সংস্থা যা উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে ইলেকট্রনিক লিঙ্কিংয়ের উপর নির্ভরশীল।

বিকল্পভাবে বলতে গেলে, ভার্চুয়াল সংস্থা হল একটি সামাজিক নেটওয়ার্ক যেখানে কোন অনুভূমিক এবং উল্লম্ব সীমানা নেই। এই অর্থে, এটি একটি সীমানা বিহীন সংগঠন। এ ধরণের সংগঠনে শারীরিকভাবে কর্মস্থলের বাইরে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মরত ব্যক্তি, এমনকি মোবাইল ডিভাইস থেকে কাজ করা ব্যক্তি নিয়োজিত থাকে। এখানকার কর্মীরা কোনো নির্দিষ্ট কর্মক্ষেত্রে আবদ্ধ নয়। আইসিটি হল ভার্চুয়াল সংস্থার মেরুদণ্ড।

 একটি ভার্চুয়াল সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে আইসিটি বা তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি কর্মীদের কর্মকাণ্ডের সমন্বয় সাধন করে, তাদের দক্ষতা এবং তৎপরতাকে একত্রিত করে। এই সংস্থাগুলির ব্যবস্থাপকগণ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক লিঙ্ক এর সাহায্যে বাইরের সম্পর্ক ও যোগাযোগের সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ করে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও সংগঠনের ভার্চুয়াল রূপ বাড়ছে। Nike, Reebok, Puma, Dell Computers, HLL, ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলো কার্যত কাজ করছে। 

ম্যাট্রিক্স সংগঠন:(matrix organization)

ম্যাট্রিক্স সংগঠন কে এমন একটি সংগঠন হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় যেখানে দ্বৈত বা একাধিক ব্যবস্থাপকীয় দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ব থাকে। যাইহোক, ম্যাট্রিক্স শব্দের অর্থ বিভিন্ন ব্যক্তি এবং শিল্পের কাছে বেশ ভিন্ন ভিন্ন জিনিস। একটি ম্যাট্রিক্সে সাধারণত দুটি চেইন অফ কমান্ড থাকে, একটি কার্যভিত্তিক লাইন বরাবর এবং অন্যটি প্রকল্প, পণ্য বা ভোক্তা লাইন বরাবর। অন্যান্য চেইন অফ কমান্ড যেমন ভৌগলিক অবস্থানও এখানে থাকতে পারে।

সহজে বলা যায় যে, কার্যভিত্তিক ও দ্রব্যভিত্তিক বিভাগীয়করনের সর্বাধিক সুবিধা গ্রহণের জন্য যে গ্রিড সংগঠন তৈরী করা হয় তাকে সংগঠনের ম্যাট্রিক্স বিভাগীয়করণ বলে।

ম্যাট্রিক্স সাংগঠনিক রূপ একটি থেকে আর একটিতে পরিবর্তিত হতে পারে । দায়িত্ব ও কর্তব্যের দিক থেকে যেখানে প্রজেক্ট ম্যানেজার একটি খুব শক্তিশালী ব্যবস্থাপকীয় অবস্থান ধারণ করে, সেখানে তিনি শুধুমাত্র একজন সমন্বয়কারীর ভূমিকাও পালন করেন। সাংগঠনিক নীতিগুলি ব্যাখ্যা করার জন্য, প্রথমে একটি ম্যাট্রিক্স বিবেচনা করা হবে যেখানে প্রকল্প ব্যবস্থাপক এবং কার্যকরী ব্যবস্থাপকদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় থাকবে। এটা অবশ্যই স্বীকার্য যে দ্বৈত কর্তৃত্বের এই ধরনের একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা, কতিপয় বিশারদের কাছে আদর্শ বলে বিবেচিত হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এরকম সংগঠনের অনুশীলন খুব কমই ঘটে।

ফ্লাটার্কি সংগঠন (Flatarchy Organization) :

Flat ও Hieararchy এর সমন্বয়ে এই শব্দটি গঠিত হয়েছে। ফ্লাটার্কি কাঠামো হল কর্মী সংগঠিত করার  এমন একটি ব্যবস্থা যা ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন স্তরভেদকে দূরীভূত করে। এটি শীর্ষ ও নিম্ন পর্যায়ের ব্যবস্থাপনার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগকে উৎসাহিত করে এবং ছোট খাট সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধানে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করে। সাধারণত ছোট ও স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই কাঠামো ব্যবহৃত হয়। ফ্লাটার্কি কাঠামোতে উচ্চ স্তরের নির্বাহী এবং অন্যান্য নিম্ন পর্যায়ের কর্মীদের মাঝে একজন মাত্র ব্যবস্থাপক থাকে। 

এই ধরণের কাঠামো ব্যবসায় নির্বাহী স্তর কমিয়ে সিদ্দান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ ঘটায়। ফ্ল্যাটার্কি কাঠামোকে একটি অস্থায়ী কাঠামো হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যা নতুন কোন পণ্য বা পরিষেবা বিকাশের ক্ষেত্রে প্রয়োজনের সময় নতুন কাঠামোর জন্য জায়গা করে দেয়। এই কাঠামোটি বেশ শক্তিশালী কিন্তু এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত অন্যান্য সাংগঠনিক কাঠামোর তুলনায় জটিল। এর প্রধান সুবিধা হল উদ্ভাবনের উপর আলোকপাত করে যা ভবিষ্যতে কাজের ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরী করে।

 যোগাযোগ প্রক্রিয়া:

যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মধ্যে প্রেরক, একটি নির্বাচিত চ্যানেলের মাধ্যমে একটি বার্তা প্রেরণ এবং গ্রহণকারী জড়িত। সহজ কথায় তথ্য, সংবাদ বা ধারণা প্রেরণ থেকে শুরু করে গ্রহণ পর্যন্ত যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়, তাকেই যোগাযোগ প্রক্রিয়া বলা হয়। বোধগম্য পদ্ধতিতে একজন প্রেরক থেকে একজন প্রাপকের কাছে একটি বার্তা প্রেরণ প্রক্রিয়াই যোগাযোগ প্রক্রিয়া।

যোগাযোগ প্রক্রিয়া কার্যকর যোগাযোগ অনুধাবনের দিক নির্দেশিকা। যোগাযোগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রেরক এবং প্রাপকের মধ্যে একটি সাধারণ ভাবের আদান প্রদান হয়। যারা যোগাযোগ প্রক্রিয়া কার্যকরভাবে অনুসরণ করেন  সে সকল ব্যক্তিরা তাদের পেশার প্রতিটি ক্ষেত্রে আরও উত্পাদনশীল হওয়ার সুযোগ পাবে। কার্যকর যোগাযোগ পারস্পরিক বোঝাপড়ার  সেতু বন্ধন তৈরী করে।

 যোগাযোগ প্রক্রিয়া চারটি মূল উপাদান নিয়ে গঠিত। এই উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে: সাঙ্কেতিক রুপান্তর (এনকোডিং), প্রেরণের মাধ্যম, বার্তা আহরণ বা অনুধাবন (ডিকোডিং) এবং প্রতিক্রিয়া। প্রক্রিয়াটিতে আরও দুটি উপাদান রয়েছে এবং সেই দুটি উপাদান প্রেরক এবং গ্রহণকারীর আকারে উপস্থিত রয়েছে। যোগাযোগ প্রক্রিয়া প্রেরকের সাথে শুরু হয় এবং প্রাপকের সাথে শেষ হয়।

 প্রেরক একজন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা সংস্থা যিনি যোগাযোগ শুরু করেন। এই উৎসটি প্রাথমিকভাবে বার্তাটির সাফল্যের জন্য দায়ী। প্রেরকের অভিজ্ঞতা, মনোভাব, জ্ঞান, দক্ষতা, উপলব্ধি এবং সংস্কৃতি বার্তাকে প্রভাবিত করে।

https://web.njit.edu/~lipuma/352comproc/comproc.htm 
 
মানসিক চাপ (mental stress): 

কর্মচারীরা যখন তাদের শারীরিক বা মানসিক শক্তি সম্পূর্ণ নিঃশেষ করে ফেলে তখন মানসিক চাপ এসে ভর করে। কোন ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন সমস্যা যা ব্যক্তির মধ্যে চাপ বা উদ্বিগ্নতা ঘটায় তাকে মানাসক চাপ বলে।এটি সাধারণত দীর্ঘদীনের বিরক্তি বা হতাশার ফলে ঘটে। অনেক সময় কাজের পরিবেশই এর কারণ। প্রচন্ড চাপ সৃষ্টিকর কাজ, সমর্থন এবং সংস্থানগুলির অভাব এবং কঠোর সময়সীমা বেঁধে দেয়া সবই মানসিক চাপে অবদান রাখতে পারে। আবার, কর্মচারীদের নিজেদের প্রত্যাশার এবং তাদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতির সাথেও সম্পর্ক থাকে। মানসিক চাপের ফলে একজন কর্মী ব্যক্তিগত হীনমন্যতায় ভোগে এবং কার্য সম্পাদনে অনীহা প্রকাশ করে।

একজন কর্মী বার্নআউট নিম্নলিখিত লক্ষণসহ বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে:

* কাজের প্রতি হতাশা বা উদাসীনতা

*ক্রমাগত বিরক্তি   *রাগ, কটাক্ষ, বা তর্কমূলক কর্মকান্ড                 *ক্লান্তি        *অনুপস্থিতি

এই সমস্ত জিনিসগুলি একটি সংস্থার মনোবল ও মূলধনকে খর্ব করতে পারে । পোড়া-আউট কর্মীরা উৎপাদনশীলতার দিক থেকে ব্যয়বহুল হতে পারে।

----------------------------------------------------------

 আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব

ম্যাক্স ওয়েবার দ্বারা প্রবর্তিত আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব হল যে, একটি প্রতিষ্ঠানকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার জন্য, প্রতিটি ব্যবসায়িক ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য যথাযথ নিয়ম, পদ্ধতি এবং প্রবিধান সহ কর্তৃপক্ষের একটি স্পষ্ট লাইন থাকা অপরিহার্য। আমলাতন্ত্র বলতে বোঝায় জ্ঞান, ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের মাধ্যমে একদল লোক বা কার্যকলাপের উপর নিয়ন্ত্রণের অধিকারী হওয়া। আমলাতন্ত্র হল একটি সাংগঠনিক কাঠামো যা অনেক নিয়ম, আদর্শ প্রক্রিয়া, পদ্ধতি এবং প্রয়োজনীয়তা, ডেস্কের সংখ্যা, শ্রম ও দায়িত্বের সূক্ষ্ম বিভাজন, স্পষ্ট শ্রেণিবিন্যাস, উত্তরসূরী এবং পেশাদার কর্মীদের মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক মিথস্ক্রিয়া।'

ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা তত্ত্ব অনুসারে, এই কাঠামো সমস্ত বড় প্রতিষ্ঠানে প্রয়োগ করা আবশ্যক। বিপুল সংখ্যক কর্মচারী দ্বারা সমস্ত কাজের কাঠামোগত পরিচালনা নিশ্চিত করার জন্য তিনি এই প্রস্তাব করেছিলেন। তদুপরি, ম্যাক্স ওয়েবারের আমলাতন্ত্রে, যোগ্যতা এবং যোগ্যতাই কর্মীদের নিয়োগ এবং পদোন্নতির একমাত্র ভিত্তি বলে অভিহিত করা হয়।

পরামর্শমূলক ব্যবস্থাপনা:

পরামর্শমূলক ব্যবস্থাপনা হল গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার একটি ধরণ। এ ধরণের ব্যবস্থাপনায় পরিচালকরা তাদের দলের প্রতিটি সদস্যের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরামর্শ করে তার দলের মতামত এবং চিন্তাভাবনা জিজ্ঞাসা করেন।

এক্ষেত্রে নেতারা অনুমান করেন যে তার কর্মী বাহিনির তাদের চাকরিতে শ্রেষ্ঠত্ব বা উৎকর্ষতা অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সক্ষমতা এবং জ্ঞান রয়েছে । যদিও নেতার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে, তবে তা কার্যকর করার আগে প্রতিটি দলের সদস্যের দৃষ্টিভঙ্গি শুনতে পছন্দ করে। কর্মীদেরকে চিন্তা ভাবনা, দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতামতের সুযোগ দেয়ায়, তাদের মধ্যে সংগঠনের নীতি নির্ধারণে অংশগ্রহণ করার অধিকার রয়েছে এরকম অনুভুতি তৈরী হয়।

এক্ষেত্রে ব্যবস্থাপক দলের সদস্যদের দেওয়া সমস্ত তথ্য বিবেচনা করার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এই ধরণের ব্যবস্থাপনা প্রায়শই  যে সকল সংগঠনে বিশেষজ্ঞ কর্মী রয়েছে এবং তাদের মেধা ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন, সে সকল বিশেষ ক্ষেত্রগুলিতে ব্যবহৃত হয়।

অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা:

অংশগ্রহণমূলক ব্যবস্থাপনা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনার একটি প্রকারভেদ। এই ধরণের সংগঠনে, ব্যবস্থাপক এবং সকল কর্মীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সক্রিয় সদস্য থাকে। কর্মীদের কোম্পানি এবং এর লক্ষ্য সম্পর্কে তথ্যের অবারিত প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় এবং সমাধানগুলি উদ্ভাবনের জন্য উত্সাহিত করা হয়।

ব্যবস্থাপনা কর্মীদের চিন্তাভাবনা, ধারণা এবং মতামত খোঁজে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কর্মীদের সাথে একসাথে কাজ করে এবং তারপর কোম্পানি এই ফলাফলের উপর কাজ করে।

gover in fin

 অভিক্ষেপন অভীক্ষা (projective test):

প্রজেক্টিভ পরীক্ষা হল একটি ব্যক্তিত্ব পরীক্ষা যেখানে কয়েকটি বিষয়কে অস্পষ্ট চিত্র বা প্রদত্ত পরিস্থিতিতে দেখানো হয় এবং তাদের ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। প্রদত্ত উদ্দীপনার বিষয়গুলির উপর তাদের নিজস্ব আবেগ, দৃষ্টিভঙ্গি এবং আকাঙ্খা তুলে ধরা হয়; এবং তারপরে এই অনুমানগুলি ব্যবহার করে ব্যক্তিকে একটি ছবি ব্যাখ্যা করতে বলা হয়। একটি গল্প বলতে বা একটি বাক্য শেষ করতে এই অচেতন প্রতিক্রিয়াগুলি ব্যবহার করা হয় এবং এই বিষয়ে ব্যক্তিত্বের মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়।

প্রজেক্টিভ পরীক্ষার ব্যবহার 1920 এবং 1930 এর দশকে শুরু হয়েছিল; এবং পরীক্ষাগুলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তারপর থেকে, বিভিন্ন সময়ে তাদের জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার বৃদ্ধি এবং পতন হয়েছে। প্রজেক্টিভ পরীক্ষার প্রবক্তারা বিশ্বাস করেন যে একজন ব্যক্তি যেভাবে উদ্দীপনাকে ব্যাখ্যা করে তা একজন ব্যক্তি হিসাবে তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়; যদিও এই অভীক্ষার বিরোধীরা মত যে পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা এবং বৈধতার অভাব রয়েছে।

-কমার্স ও এম-কমার্স :

-কমার্স কী?

ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্ক, বিশেষ করে, ইন্টারেনট ব্যবহার করে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়, অর্থ লেনদেন ডাটা আদান-প্রদানই হচ্ছে -কমার্স বা -বাণিজ্য। -মেইল, ফ্যাক্স, অনলাইন ক্যাটালগ, ইলেক্ট্রনিক ডাটা ইন্টারচেঞ্জ (ইডিআই), ওয়েব বা অনলাইন সার্ভিসেস ইত্যাদির মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। সাধারণত -কমার্স সুসম্পন্ন হয়: এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের (বি টু বি) মধ্যে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভোক্তার (বি টু সি) মধ্যে, ভোক্তা ভোক্তার (সি টু সি) মধ্যে। এক কথায় প্রায় স্বয়ংক্রিয় আদান-প্রদানের এই বিপণন প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে -কমার্স।

এম-কমার্স বা মোবাইল কমার্স হলো এমন একটি ব্যবসায়িক সিস্টেম যা তারবিহীন বা ওয়্যারলেস পরিবেশে সংঘটিত হয়। সুতরাং বলা যায় যে, ওয়্যারলেস ডিজিটাল ডিভাইস ওয়্যারলেস অ্যাপ্লিকেশন প্রোটোকলের সাহায্যে সরাসরি ইন্টারনেট ব্যবহার করে -বিজনেস করাকে এম-কমার্স (M-commerce) বলে। উন্নত দেশগুলোতে এম-কমার্সের সাহায্যে খুব সহজে কেনাকাটা, টিকিট বুকিং, শেয়ার বেচাকেনা ইত্যাদি করা যায়। এম-কমার্স এর কার্যাবলীকে মোবাইল শপিং, মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা মোবাইল পেমেন্ট হিসাবে শ্রেণী বিভাগ করা যায়।

এজেন্ট ব্যাংকিং ?

ব্যাংকের এজেন্ট হল একজন খুচরা বিক্রেতা বা ডাক আউটলেট যা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সীমিত পরিসরে অনগ্রসর এলাকায় ব্যাংক সেবাগ্রহীতার লেনদেন নির্বাহ করে। ব্যংকের শাখার পরিবর্তে খুচরা আউটলেটের মালিক অথবা কর্মচারী লেনদেন নির্বাহ করে যা সেবাগ্রহীতা কে টাকা জমা করা, টাকা উত্তোলন, ফান্ড ট্রান্সফার, বিল পরিশোধ, হিসেব জানতে চাওয়া অথবা সরকারী সুবিধা গ্রহণ করা ইত্যাদি সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাংকের এজেন্ট হিসেবে থাকতে পারে ফার্মেসী, সুপারমার্কেট, লটারী আউটলেট, ডাকঘর ইত্যাদি

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান হারে এইসব খুচরা বিক্রেতা ডাকঘরগুলো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বণ্টন মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারিত হয়ে আসছে।উন্নত দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এজেন্ট ব্যাংকিং

ব্যাংকের এজেন্টরা সাধারণত পয়েন্ট অব সেল(পিওএস), কার্ড রিডার, মোবাইল ফোন, বারকোড স্ক্যানার, পিন প্যাড ইত্যাদির সাহায্যে কার্যক্রম সম্পাদন করে থাকে। মাঝে মাঝে ব্যক্তিগত কম্পিউটার ব্যবহার করে যা পার্সোনাল ডায়াল আপ বা অন্য ডাটা কানেকশন ব্যবহার করে কম্পিউটারের সার্ভারের সাথে সংযুক্ত থাকে। সেবাগ্রহীতারা এজেন্টের কাছে লেনদেন করার জন্য ম্যাগনেটিক ব্যাংক কার্ড বা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যথাক্রমে তার ব্যাংক অথবা -ওয়ালেটে প্রবেশ করার জন্য।সেবাগ্রহীতা সাধারণত পিন নাম্বার দিয়ে শনাক্ত হয়ে থাকে তবে বায়োমেট্রিকের মাধ্যমেও এটা করা যায়।লেনদেন যাচাইকরণ, অনুমোদন অন্যান্য ফয়সালার ক্ষেত্রে এজেন্ট ব্যাংকিং অন্য যে কোন দূরবর্তী ব্যাংক চ্যানেলের মতই কাজ করে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুচরা আউটলেটের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে কিনা তা স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ সংস্থা নির্ধারণ করে দেয়। যদি কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন দেওয়া হয় এজেন্ট ব্যাংকের চুক্তি করতে তাহলে এটা কি ধরনের হবে, কী সেবা প্রধান করতে পারবে খুচরা আউটলেটগুলোতে, কীভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাশ পরিবহন করবে, ভোক্তা সংরক্ষণ ইত্যাদি নীতিমালা নিয়ন্ত্রণকারীদের দ্বারা নির্ধারণ করে দেয়।

আউটসোর্সিং কি?

আউটসোর্সিং হল একটি ব্যবসায়িক অনুশীলন যেখানে একটি কোম্পানী কাজ সম্পাদন করতে, অপারেশন পরিচালনা করতে বা কোম্পানির জন্য পরিষেবা প্রদানের জন্য একটি তৃতীয় পক্ষকে নিয়োগ করে। কোম্পানিগুলি সম্পূর্ণ বিভাগগুলিকে আউটসোর্স করতে পারে, যেমন এর সম্পূর্ণ আইটি বিভাগ, বা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট বিভাগের কিছু অংশকে আউটসোর্স করতে পারে।

আউটসোর্সিং হল একটি কোম্পানির দ্বারা একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত যাতে খরচ কমানো যায় এবং কার্য সম্পাদন করার জন্য অন্য ব্যক্তি বা কোম্পানিকে নিয়োগের মাধ্যমে, পরিষেবা প্রদান করা বা পরিচালনা করা হয় যা কোম্পানির মধ্যে কর্মচারীদের দ্বারা পূর্বে করা হয়েছিল। অন্য কথায়, আউটসোর্সিং হল একটি কোম্পানির বাইরে নির্দিষ্ট কাজের জন্য বহিঃ চুক্তি (contracting out) বলা হয়।

এক কথায় আউটসোর্সিং এর অর্থ হল কোনো কাজ যা বাইরে থেকে করিয়ে নেওয়া হয়।

উদাহরণ হিসেবে: ধরা যাক কোনো কোম্পানির তে কোনো কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত কারিগর না থাকে তাহলে ওই কাজকে বাইরে থেকে কাউকে টাকা দিয়ে করিয়ে নেওয়া যায়। একেই বলে হয় আউটসোর্স এর মধ্যে কাজটি করানো হয়েছে।

এছাড়াও ধরি, কোনো মিষ্টির দোকানের কাছে অর্ডার এলো ১০০ পিস মিষ্টির কিন্তু যদি ঐ মিষ্টির দোকানের কাছে ১০০ পিস মিষ্টি না থাকে তাহলে অন্য কোনো দোকান থেকে কিনে এনে খরিদ্দার কে দিতে পারে। যার অর্থ হলো ওই মিষ্টির দোকানদার ওই মিষ্টি গুলিকে আউটসোর্স করেছে।

আরও একটি উদাহরণ হলো: ধরুন আপনি ক্যাটারিং এর কাজ ধরলেন এবং আপনার কাছে যদি ওই ক্যাটারিং এর কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ লোক না থাকে তাহলে আপনি বাইরে থেকে আরো কিছু কাজের লোক নিয়ে ওই ক্যাটারিং এর কাজটি সম্পন্ন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি কিছু পরিমাণ কাজের লোক আউটসোর্স করেছেন।

------------------------

ডিজিটাল অর্থনীতি/ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব: 

ডিজিটাল অর্থনীতি বুঝতে হলে আমাদের অর্থনীতির রূপান্তর সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে। এক সময় আমাদের এই পৃথিবীর সব দেশই ছিল কৃষিভিত্তিক। তারপর কৃষিভিত্তিক সমাজ ভেঙে হল শিল্পভিত্তিক সমাজ। শিল্পভিত্তিক সমাজ থেকে সেবা তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক অর্থনীতির বিকাশ হল। সমাজ বিকাশের ধারায় উৎপাদনশীলতা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রথমে যন্ত্র, তার পরে বিদ্যুৎ এবং তারও পরে ইন্টারনেট উৎপাদন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করেছে। এরপর উৎপাদন ব্যবস্থায় আসছে ডিজিটাল প্রযুক্তি।

ডিজিটাল অর্থনীতি হচ্ছে মেধাভিত্তিক উৎপাদনশীল একটি অর্থনীতি যার ভিত্তি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তি। কৃষি, শিল্প-বাণিজ্য, সেবা খাতকে বাদ দিয়ে কাগজে-কলমে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক সমাজের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম ডিজিটাল অর্থনীতি নয়। ডিজিটাল অর্থনীতি হচ্ছে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা মেধাভিত্তিক উৎপাদনশীল অর্থনীতি কেউ কেউ একে সৃজনশীল অর্থনীতিও বলেন। অন্যভাবে বলঅপণ্য এবং পরিষেবাগুলি উৎপাদন এবং বাণিজ্যিকীকরণে সহায়তা কতে। লক্ষ্য অর্জন করতে, এটি ইন্টারনেট এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে।

 সম্প্রতি বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ডিজিটাল অর্থনীতি আলোচিত হয়েছে। তারা এখন অনুভব করছে যে, দুনিয়া চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পথে হাঁটছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি সেই বিপ্লবের হাতিয়ার এবং সারা দুনিয়াতেই ডিজিটাল অর্থনীতি এখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে।

Org & Mgt. এর সম্পূর্ণ কোর্স প্রস্তুতি নিতে চান? 

সার্বিক গুণগতমান ব্যবস্থাপনা ( Total Quality Management):

সার্বিক গুণগতমান সম্পন্ন ব্যবস্থাপনা এমন একটি নীতির উপর ভিত্তি করে পরিচালিত ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি যেখানে কর্মীদের প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই কোম্পানির কার্যলাপের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজের উচ্চ মান বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হয়। সার্বিক মান ব্যবস্থাপনা  বা টোটাল কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট (টিকিউএম) হল একটি ব্যবস্থাপনা কাঠামো যা এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে যে একটি সংস্থার নিম্ন-স্তরের কর্মী থেকে তার সর্বোচ্চ স্তরের নির্বাহী পর্যন্ত সমস্ত সদস্য, গুণমান উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করে এবং এইভাবে, গ্রাহকদের সন্তুষ্টি বিধান করে দীর্ঘমেয়াদী সাফল্য বজায় রাখে। সার্বিক মান ব্যবস্থাপনা  প্রচেষ্টায়, একটি সংগঠনের সমস্ত সদস্য প্রক্রিয়া, পণ্য, সেবা এবং কার্য পরিবেশের উন্নয়নে অংশগ্রহণ করে। এটি কেবল স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লাভের উপর জোর দেওয়ার পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদে প্রক্রিয়ার উন্নতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। 

-------------------------------

প্রকৃত সময় তথ্য বা রিয়েল-টাইম ডেটা:

রিয়েল-টাইম ডেটা হল তথ্যের এমন ব্যবস্থা যা প্রতিটি মুহূর্তে হালনাগাদ থাকে এবং এটি উপলব্ধ হওয়ার মুহূর্তে দেখা যায়। রিয়েল-টাইম ডেটার অনেক সাধারণ ব্যবহার রয়েছে। এর মধ্যে উৎপাদনের উপাদান এবং যানবাহন ট্র্যাকিং সবচেয়ে দুটি সাধারণ ধরণ। যানবাহনের গতিবিধির রিয়েল-টাইম ডেটা ম্যানেজারদের গাড়িগুলি ঠিক কোথায় তা দেখতে দেয়, যা ব্যয়বহুল সরঞ্জাম বা যানবাহনের জন্য সুবিধাজনক।  এই ব্যবস্থা কোন পণ্য একটি স্থান  থেকে অন্য স্থানে পরিবহনকালে পথিমধ্যে আছে কিনা  বা চুরি হয়েছে কিনা তা সুস্থির করতে ব্যবহার করা যায়। এটি উৎপাদনের উপকরণ ট্র্যাকিংয়ের জন্যও সহায়ক হয়, কারণ একজন প্রকল্প ব্যবস্থাপক কখন উপকরণগুলি সাইটে প্যেছোবে তা নির্ধারণ করতে পারেন। 

রিয়েল টাইম ডেটার মধ্যে ব্যস্থাপকগণ অবিলম্বে তথ্যের মধ্যে প্রবেশ এবং পরিকল্পনা করতে পারেন।. এই যোগাযোগ একটি আরও সমন্বিত প্রকল্প এবং একটি সমন্বিত শ্রম বিতরণ তৈরি করে। রিয়েল-টাইম ডেটা এখন শুধু উপাদান ট্র্যাকিংয়ের চেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। রিয়েল-টাইম ডেটা ব্যবহার করা যেতে পারে যে একজন কর্মী কখন তার কার্য প্রবেশ করেছে  এবং কখন কাজ থেকে বিরতি নিয়েছে এবং সাইটটি কতটা উত্পাদনশীল ছিল। বিশেষ করে উৎপাদন শিল্পে রিয়েল-টাইম ডেটা ব্যবহারের সংখ্যা অনেক বেশি।

গ্রীন ব্যাংকিংGovernance in fin

 বর্তমানে ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বাধিক প্রচলিত একটি শব্দ গ্রীন ব্যাংকিং। গ্রীন ব্যাংকিং এর অর্থ হল, ব্যাংকিং এর এমন কিছু কৌশল এর উন্নয়ন যা প্রত্যাশিত অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে সেই সাথে পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমের প্রসার ঘটাবে ও কার্বন নির্গমনকে হ্রাস করবে। গ্রীন ব্যাংকিংকে নৈতিকতার ব্যাংকিং ও টেকসই ব্যাংকিং বলেও অভিহিত করা হয়।

একটি গ্রীন ব্যাংক এর সাধারণ ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডে সব ধরণের সামাজিক ও পরিবেশগত দিক বিবেচনা করে থাকে। পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষার নিমিত্তে ব্যাংকিং একটি টেকসই নীতি, নৈতিকতার সাথে বিনিয়োগ, সংরক্ষণ ও জ্বালানী শাস্রয় এর সাথে জড়িত।

গ্রীন ব্যাংকিং শুধুমাত্র ব্যাংকের আভ্যন্তরিণ চর্চার কোন বিষয় নয়। ব্যাংকের সাধারণ কর্মকান্ডে যেমন: অনলাইন ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, কল সেন্টার স্থাপন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, এনএমএস সেবা, ইমেইল যোগাযোগ ইত্যাদি সেবা সরবরাহের মাধ্যমে ব্যাংক যেমন তার অবকাঠামোগত স্তরে গ্রীর ব্যাংকিং বাস্তবায়ন করতে পারে। তেমনি বিনিয়োগ কার্যক্রমেও গ্রীন ব্যাংকিং এ সহায়ক ভুমিকা রাখে এমন প্রকল্প অংশীদার হতে পারে। ব্যাংক বিভিন্ন রকম গ্রীন প্রডাক্ট এ বিনিয়োগ করতে সরাসরি সবুজ বিনিয়োগে অবদান রাখতে পারে। বিভিন্ন রকম নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন: সৌর প্যানেল, বায়ু চালিত বিদ্যুৎ, পানি বিদ্যুৎ, বায়ো গ্যাস, ফুয়েল সেল, বিকল্প জ্বালানি, বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরী; ভুমি ব্যবস্থাপনা যেমন: অর্গানিক কৃষি, নগর পার্ক নির্মান, বনায়ন কর্মসূচির, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্পে বিনিয়োগ করে সরাসরি গ্রীন বিনিয়োগ ঘটাতে পারে।

সবুজ ব্যাংকিং পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনবায়নযোগ্য, অ-নবায়নযোগ্য, মানব ও প্রাকৃতিক সম্পদ দক্ষ ব্যবহারের সাথে অর্থায়ন করে ।

মোবাইল ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রদত্ত একটি পরিষেবা যা তাদের গ্রাহকদের স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের মতো মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে দূরনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিতে আর্থিক লেনদেন পরিচালনা করার সুবিধা দেয়। সমণ্বিত ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের বিপরীতে এতে সফ্টওয়্যার ব্যবহার করা হয় সাধারণত যেগুলোকে অ্যাপ বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মোবাইল ব্যাংকিংয়ের উদ্দেশ্যে এই অ্যাপ সরবরাহ করে থাকে। মোবাইল ব্যাংকিং সাধারণত ২৪ ঘন্টার ভিত্তিতে উপলব্ধ। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোন ধরণের হিসাবে প্র‌বেশ করা যা‌বে এবং কী পরিমাণ লেনদেন করা যা‌বে এমন বিষয়ে কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেনগুলো প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপের বৈশিষ্ট্যগুলোর উপর নির্ভর করে। অ্যাপগুলোতে সাধারণত অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স সর্বশেষ লেনদেনের তালিকা, বৈদ্যুতিন বিল পরিশোধ, রিমোট চেক ডিপোজিট, ব্যক্তি-ব্যক্তি লেনদেন এবং কোনও গ্রাহক বা অন্যের অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে। কিছু অ্যাপ্লিকেশন গ্রাহকদেরকে কখনও কখনও ব্যাংক স্টেটমেনট ডাউনলোড এবং ক্ষেত্রবিশেষে তা মুদ্রণ করারও সুবিধা প্রদান করে। একটি মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের ফলে খুব সহজে, দ্রুততার সাথে,  এবং স্বাচ্ছন্দে নিজ স্থানে থেকে বিভিন্ন রকম আর্থিক লেনদেন সম্পাদন করা যায়। পক্ষান্তরে যেহেতু এটি ব্যবহারকারীর মোবাইল ডিভাইসের সাথে অন্তর্ভুক্ত তাই সুক্ষ নিরাপত্তা ইস্যু জড়িত থাকে। 

ক্রিপ্টো কারেন্সি:

সহজ কথায় বলতে গেলে ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা । আর ক্রিপ্টো সর্বদা ব্লকচেইন এর মাধ্যেমে লেনদেন হয়। অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সির ডাটাবেজ হল ব্লকচেইন। আর সবচাইতে বড় বিষয় হল এই ডিজিটাল অর্থ কোনো দেশের সরকার বা রাষ্ট্র দ্বারা পরিচালিত নয়। তবে  বর্তমানে বিশ্বের ১১১ টি  দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি এখন বৈধ। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ক্রিপ্টোকারেন্সি পুরোপুরি বৈধ নয়, তবে খুব শীঘ্রই এটা বাংলাদেশে বৈধতা পেতে পারে। কিন্তু অনেকে এখন বাংলাদেশে P2P এর মাধ্যেমে ক্রিপ্টোকারেন্সি কেনা-বেচা করে।

 

কর্ম বা দক্ষতা মূল্যায়ণ: (Merit Rating)

কর্ম মূল্যায়ণ এর অপর নাম দক্ষতা নিরুপণ বা দক্ষতা মূল্যায়ন। কর্মী সংস্থানের ক্ষেত্রে দক্ষতা নিরুপণের পদ্ধতিগত কৌশলই কর্ম মূল্যায়ণ। কর্মীর ব্যক্তিগত গুণ ও ঘাটতি, সংশ্লিষ্ট কাজের জন্য চাওয়া দক্ষতার বিষয়ে প্রত্যেক কর্মীকে তুলনা করার জন্য বিভিন্ন ধরণের মূল্যায়ণ কৌশল প্রয়োগ করা হয়।

সর্বজন স্বীকৃত একটা মত আছে যে প্রত্যেকটি মানুষের জ্ঞান ও সামর্থ আলাদা। এই তারতম্যকে দূর করা যায় না, এমনকি একই ধরণের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সুবিধা দিয়েও এই ব্যবধান দূর করা সম্ভব নয়। ফলে একই ধরণের কাজেও দুজন কর্মীর কাজের গুণগত ও পরিমাণগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তাই উত্তম সামর্থকে পুরষ্কৃত করতে এবং ভুল কর্মী নির্বাচনকে প্রত্যাহার বা বাতিল করতে কর্ম মূল্যায়ন করার পয়োজন পড়ে। একজন কর্মীর অব্যবহিত অধস্তন তার অধীনস্ত কর্মীর মূল্যায়ন করে থাকে। কর্মীর শুধু গুণাবলী নয়, কর্মীর ঘাটতিসমূহও এখানে বিবেচনা করা হয় যাতে ভবিষ্যতে তার কর্ম দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো যায়।

সংগঠনে কর্মীর কর্ম দক্ষতার অিবদানের উপর ভিত্তি করে কর্মীর পদ্ধতিগত মূল্যায়ণ হল কর্ম মূল্যায়ণ।

 অনলাইন ব্যাংকিং এর সুবিধা কি?

দিনরাত ২৪ ঘণ্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন যে কোন স্থান থেকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে একাউন্টে লগইন এর সুবিধা, একাউন্টের ব্যালেন্স জানা, এক একাউন্ট হতে অন্য একাউন্টে টাকা আদান-প্রদান করা যায়। ATM বুথে সচরাচর আমরা 24/7 লিখা দেখি। কথাটির অর্থ হল দিনরাত 24 ঘণ্টা এবং সপ্তাহে 7 দিন ব্যাংকিং সেবা পাওয়া যাবে।সুদের হার, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার যায়। চেক বইয়ের জন্য অনুরোধ, চেক বইয়ের পেমেন্ট বাতিল করা যায়। বিভিন্ন ডিপোজিট স্কিম করা যায়। ইন্টারনেট ব্যাংকিং সফটওয়্যার এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালনা করা হয়ে থাকে বলে এটি খুব দ্রুত এবং সুবিধাজনক।

সাংগঠনিক প্রতিশ্রুতি:

সাংগঠনিক প্রতিশ্রুতি হল সংগঠনের কর্মীদের সংগঠনের প্রতি এক ধরণের মানসিক সংযোগ তৈরী হওয়া। এর ফলে কর্মীদের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও তার লক্ষ্যের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয় এবং সেই প্রতিষ্ঠানে নিজেকে  সম্পৃক্ত করার  ইচ্ছা  জাগ্রত  হয়। কর্মীর এ মনোভাবকে  সাংগঠনিক  আচরণের  ভাষায়  সাংগঠনিক  প্রতিশ্রুতি  বলা  হয়। সুতরাং, কর্মে সম্পৃক্ততা বলতে বুঝায়, কর্মীদের কর্মের প্রতি নিজেকে সম্পৃক্ত করার মনোভাব এবং সাংগঠনিক প্রতিশ্রুতি বলতে বুঝায়, নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে নিজেকে  সম্পৃক্ত করা। কর্মীর  কর্মের প্রতি তার  সম্পৃক্ততার মনোভাবের ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতি কোন  ধরনের  প্রতিশ্রুতি  নাও  থাকতে  পারে।  কিন্তু, সংগঠনের  প্রতি  প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা  মনোভাবের ক্ষেত্রে  কর্মী যেমন কর্মের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে ঠিক তেমনি সংগঠনের প্রতিও সে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকে।

সংকটপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিন্দু (Critical Control Points) :

নিয়ন্ত্রন প্রক্রিয়ার যে বিন্দুতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি বা বিচ্যুতিসমূহ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাকে সংকটপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিন্দু বলে। এটি এমন এক বিন্দু, অবস্থা বা প্রক্রিয়া যেখানে পূর্ব থেকে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োগ করা যায় এবং ক্ষয় ক্ষতিসমূহ প্রতিরোধ বা গ্রহণযোগ্য মাত্রায় নামিয়ে আনা যায়। সংকটপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিন্দু সংগঠনের নির্ভরযোগ্যতা ও ঝুঁকি বিশ্লেষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।  

সংকটপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ বিন্দু নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে। ব্যবস্থাপনার সকল কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার প্রয়োগ করা সম্ভব নয় কারণ এটি ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ। ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বপূর্ণ বা সংকটাপন্ন অবস্থা চিহ্ণিত করতে হবে যার ফলে ফলাফলসমূহের প্রধান ক্ষেত্রসমূহ (Key Result Area) এবং বিচ্যুতিসমূহ আগেভাগে সংশোধন করা যায়। কার্যফলের মৌলিক ক্ষেত্র বলতে সেসব অবস্থাকে বুঝায় যা সমগ্র সংগঠনের সফলতাকে প্রবাবিত করে। সংকটপূর্ণ বিন্দুতে যদি কোন ভুল শনাক্ত হয়, তাহলে তা তাৎক্ষণিকভাবে তার বিচ্যুতিসমূহ বিশ্লেষণ এবং সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সংকটপূর্ণ বিন্দুতে নিয়ন্ত্রণের মূল সুবিধাসমূহ:

১) সময় বাঁচায়, ফলে ব্যবস্থাপক অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোনিবেশ করতে পারে।

২) প্রধান প্রধান ক্ষেত্রসমূহ বিশ্লেষণে সহায়তা করে যা সমগ্র সংগঠনেকে প্রভাবিত করে।

৩) মুল ফলাফলের ক্ষেত্রসমূহের উপর গুরুত্বারোপ করে এবং বিচ্যুতিসমূহ সংশোধনে সহায়তা করে।

 mycbseguide.com

 পরিস্থিতি প্রেক্ষিত নেতৃত্ব (Situational theory of Leadership):
নেতৃত্বের উপর ক্রমান্বয়ে গবেষণা ও চিন্তা-ভাবনার ফলে আচরণগত তত্ত নেতৃত্বের আসল রূপ উদঘাটন করতে ব্যর্থ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এই সীমাবদ্ধতার কারণে পরিস্তিতি মতবাদ জন্মলাভ করেছে। 
এই তত্তটি এফ ই ফিল্ডলার এবং তাঁর অনুসারীরা উদ্ভাবন করেন। পরিস্থিতিবাদীদের মতে "Leaders are the product of given situations". অর্থাৎ কোন বিশেষ পরিস্থিতিতেই নেতার আবির্ভাব ঘটে।
পরিস্তিতিবাদীরা মনে করেন যে, নেতৃত্বের বিশেষ গুণাবলী  সম্পন্ন ব্যক্তি তখনই সত্যিকারের নেতা হবেন যখন তিনি বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলায় উক্ত গুণাবলী সাফল্যজনকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন। 

এই মডেল বর্ণনা করে যে, নেতৃত্বের অধিকাংশ যথোপযুক্ত ধরণ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে- যেখানে নেতা কাজ করেন। অর্থাৎ যে বিশেষ পরিস্থিতিতে নেতা কাজ করেন, সেই পরিস্থিতি দ্বারাই নেতৃত্ব সর্বাধিক প্রভাবিত হয়। সবচেয়ে ভাল নেতৃত্ব নির্ভর করে পরিস্থিতির উপর যা অনুকুল বা প্রতিকুল বা উভয়ের গড় পরিস্থিতিও হতে পারে। যদি পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় তাহলে নেতৃত্বের উপাদানেরও পরিবর্তন হয়।
সমালোচনা :
পরিস্থিতি প্রেক্ষিতে এ তত্তটি সমালোচনা হতে রেহাই পায়নি। নিম্নোক্ত যুক্তি সমূহের ভিত্তিতে ইহার সমালোচনা
করা হয়ে থাকে-
(১) নেতার মধ্যে অবশ্যই কিছু না কিছু গুনাবলীর সমাবেশ থাকতে হয়। কিন্তু নেতৃত্বের পরিস্থিতি তত্তে এ ধরনের
গুণাবলীর উল্লেখ পাওয়া যায় না।
(২) অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গুণাবলীর ভিত্তিতে নেতা নির্বাচন করা হয়ে থাকে এবং সত্যিকার অর্থে গুণাবলী ভিন্ন অন্য
কোন কিছুর ভিত্তিতে নেতা ও অনুসারীদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা অসম্ভব। কিন্তু এ তত্ত নেতৃত্বকে পরিস্তিতির উপর ছেড়ে বিশেষ পরিস্থিতিতে কোন ব্যক্তি নেতা হবার উপযুক্ততা আছে কিনা তা যাচাই করে দেখার কোন মাধ্যম প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছে।

আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা (Emotional Intelligence ) : আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা এর জনক হিসেবে ধরা হয় ড্যানিয়েল গোলম্যানকে।  তুলনামূলকভাবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স এর ধারণাটি নূতন; কিন্তু এটি  শক্ত বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা হলো নিজের আবেগকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ব্যবহার করা।

সংক্ষেপে বলতে গেলে- আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা বলতে নিজের ও অন্যদের আবেগকে বুঝা এবং তা ম্যানেজ করার ক্ষমতাকে বুঝায়। অন্যকথায় বলা যায়, আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা হচ্ছে একজন ব্যক্তির সেই মানসিক সামর্থ্য, যার মাধ্যমে সেই ব্যক্তি নিজেকে সুন্দরভাবে ম্যানেজ করতে পারে, আশপাশের অন্যান্যদের সাথে সলফলতার সাথে আচরণ করতে পারে, অন্যকে মোটিভেট করতে পারে এবং স্বীয় অনুভূতির সঠিক বিচার করে প্রতিদিনের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে যথার্থভাবে সাড়া দিতে সমর্থ হয়।

একজন উচ্চ আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কর্মী তার নিজের তাড়না ভালোভাবে ম্যানেজ করতে পারেন, সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিগণের সাথে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করতে পারেন, যে কোনো পরিবর্তনকে সহজভাবে মানিয়ে নিতে পারেন, উদ্ভূত সমস্যাসমূহের যৌক্তিক সমাধান করতে পারেন এবং সুস্থ রসবোধ কাজে লাগিয়ে চাপা বা উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে সহজ করে পারষ্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উচ্চ আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন কর্মীগণের অন্যকে বুঝার, অন্যের অনুভূতি উপলব্ধি করার ক্ষমতা থাকে, তারা বিপদ-আপদ ও প্রতিকুল পরিস্থিতিতেও সবসময় আশাবাদী মনোভাব পোষন করে থাকেন।

 


Org & Mgt. এর মূল অংশ পড়তে

 


Text Jumping effect

Org. & Mgt. এর সংক্ষিপ্ত প্রস্তুতি

No comments:

Post a Comment

to drop Your valuable Comment please mention your name (Click to arrow sign and select name/url)