আমার কবিতা 🌿 page no. 🌿 আমার কবিতা
** আহত কবিতা**-- নজরুল জামিল
তোমাকে লেখা কবিতা
আমার একমাত্র আশ্রয়
এখানে ভালবাসা গুলো জেগে থাকে,
এখানে সমূহ প্রেম উপচে পড়ে।
অপ্রকাশিত মায়া জেগে উঠে
প্রশ্রয় খোঁজে অবাঞ্ছিত ভালবাসার।
তোমাকে লেখা কবিতার পৃষ্ঠা
সুতরাং আমারই থাক
নতুন খাতায় তুমি নতুন করে লিখে নিও,
দুই চারটে রঙ বাহারি গোলাপ
নতুন কুঁড়ির সুবাস পাক।
তোমার মাঝে পাওয়া অবাক স্পর্শ
আমাকে পুড়িয়ে মারুক,
আমি ডানা ঝাপটানো পাখির দলে মিশে যাব,
সাঝ বিহানে পরিযায়ীর চোখে
নতুন রূপে তোমার মায়া ঝরুক। ** অসংলগ্ন ইচ্ছা**
-- নজরুল জামিল
ইচ্ছে করে আমার শক্ত হাতে,
কবজির জোরে তার
চপল চিবুক টেনে ধরি আমার সন্নিকটে
বিষাক্ত করে তুলি পুরু ঠোঁট।
ইচ্ছেকে সংবরণ করি তার অলক্ষ্যেই
ইচ্ছে হয় অনবরত বকবক করতে থাকি,
কথা জমুক না জমুক
অনর্গল বলতে থাকি, বক্তৃতা, ভাষণ
ঢং, আতলামি তা সে যাই বলুক।
মুহুর্তের স্তব্ধতা ভেঙে দিয়ে
বিরক্তি ধরা প্রচন্ড চিৎকার সে জানাক।
ইচ্ছেগুলোর শ্রাদ্ধ করি প্রতি দিনকার
ইচ্ছের প্রতিঘাতে।
ইচ্ছে করে অসম্ভব রকম ভালবাসি
ঘরে ফেরার সুখ বিসর্জন দেই,
বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়কাক হই,
চুপসে যাওয়া ভেজা বসন পানে
তাকিয়ে থাকি।
এমন তীক্ষ্ণ চোখের বাণে
দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকা অদৃশ্য হাতে
কাঁপন শুরু হবে উল্কার বেগে।
মুমূর্ষু রোগীর মত আমি ছটফট করি
ইচ্ছের ফাঁদে।
ইচ্ছের ঘুর্ণিপাকে আমি প্রতিক্ষণ ঘুরি।
ইচ্ছে করে ওরকম শুভ্র হাত
আগলে রাখি বুকের মধ্যে।
-- নজরুল জামিল
ভীষণ রকম ভাল লাগলে
ভীষণ রকম মন খারাপ হয়।
শান্ত পুকুরে টুপ করে একটা কিছু পড়লে,
চারপাশটা একটা ঢেউ খেলে যায়,
মুহুর্মুহু আমি ওই রকম আন্দোলিত হই।
কারো জন্য বসে থাকি,
একটা ফোন কল, একটা মেসেজ
চোখের পাতায় ভাসতে থাকে।
আজকাল রাত অনেক বাকি থাকতেই
চোখ মেলে থাকি।
কিছু একটা ইমেজ, কিংবা টেক্সট
দেখতে দেখতে চোখ খুলে রাখি।
কারো প্রতিচ্ছবি মনের ভেতর এসে
উঁকি ঝুঁকি দেয়,
ইচ্ছে করে তাকে ফোনালাপে এক্ষুণি
জানিয়ে দেই,
"কি করছটা কি তুমি!
জানো তুমি! আজ আর ঘুম হবে না,
ঘুম কেটে গেছে,
আমিতো জেগেই আছি,
আমার নিদ্রাগুলো কাউকে বিসর্জন দিয়েছি।
আচ্ছা চল আজ কথার জাল বুনে
সময়টা পার করে দেই।
এসব ইচ্ছে দুর্নিবার নয়, ইচ্ছেগুলো
ভেতরেই মেরে ফেলতে হয়।
সকাল হলে আবার দিবা স্বপ্নের মধ্যে
আমি হাঁটতে থাকি, ভাবনার
অনেক গুলো অলি গলি পাড় হয়ে
ঠিকই অন্য কোন স্বত্তার কাছে পৌছোই।
তাকে বলি, চল আমার সঙ্গে
তবুও আমরা দিন ভর তাকিয়ে থাকব
পারস্পরিক সৌন্দর্যকে উপেক্ষা করে।
প্রমত্তা নদী দেখব, নদীর মধ্যে জল দেখব,
ছোট্ট দু চারটে চড়ুই ওপারের আকাশে
ঝির ঝির করে চলে যেতে দেখব।
আমরা আমাদের দিকে তাকাতে ভুলে যাব।
কিন্তু কোন ডোবার মধ্যে ফোঁটা কলমির
কুঁড়ি, শান্ত পথের বাঁকে বটের ঝুড়ি
ঘাসফুলের মাথায় সদ্য সমাপ্ত বৃষ্টির ফোঁটা
উপেক্ষা করব কি করে!
এসব উপাখ্যান বার বার দুজনকে
গোধুলি পর্যন্ত বসিয়ে রেখে দেবে,
মুখোমুখি থাকবে একটা নদীর কোলাহল।
Posted in fb on:
বিনাশ
-- নজরুল জামিল
ভীষণ মন খারাপের দিনে
টুপটাপ বৃষ্টি না হোক
ঝা ঝা বৃষ্টিতে উড়িয়ে নিক
জড়াজীর্ণ টিনের চাল।
জানালার ফাক গলে রোদ
না আসুক,
ঘন কালো মেঘ ছুটে এসে
ভাসিয়ে দিক
শতাব্দী প্রাচীন চাপা আর্তনাদ।
ঝম ঝম বর্ষা কানে তালা ধরিয়ে দিক
পৃথিবীতে প্রলয় নামুক।
আর একবার সর্বনাশী ধুমকেতু
আছড়ে পড়ুক খোলা মাঠে
অথবা লোকারণ্যে ছিটকে পড়ুক
গুড়িয়ে দিক একশ নর মন্ডু।
একটা বড় ভূমিকম্প হোক,
প্রতিটা মানুষের অন্তরের পাথর
ভেঙে দিয়ে যাক,
একটা বড় প্রলয় আসুক,
প্রতিটা মনের ভেতরের পঙ্কিলতা
মুছে দিয়ে যাক!
-- নজরুল জামিল
আমার অজস্র দিন তোমার বুক সেল্ফে
সাজানো আছে,
একখানা সুপরিচিত এনসাইক্লোপিডিয়া
তোমার বক্ষ আচ্ছাদনে ওলট পালট হয়,
আমি পৃষ্ঠা ওল্টাতে ওল্টাতে পরিশিষ্টে
পৌছে যাই।
আবার মলাট ওল্টাতে থাকি
মাত্র কয়েক লাইনের ভুমিকা পড়ে শেষ
করতে পারি না।
অবশ্য ওরকম পাহাড় ডিঙোতে লক্ষ মাইল
পরিভ্রমনের একটা সূচিপত্র থাকতে হয়।
এরপর তুমি আমাকে জোচ্চোর, প্রতারক বলবে,
বলবে নির্ঘাত তোমার চোখের মাথা খেয়েছ!
বলবে, একটা চশমা ব্যবহার কোরো,
'বুড়োদের হাবিজাবি চিন্তা' বলে একটা
ছোট খাট গালও দিতে পার!
তোমার কাছে অতি ব্যক্তিগত স্থানে
মনে হয় আমার পরিচিত সব ভাবনাগুলো
স্থবির হয়ে থাকে।
ফাল্গুন শেষের সকাল বেলার একটু একটু করে
বাড়তে থাকা সৌর তাপের মত,
কখনো আরাম করে গা এলিয়ে রোদ পোহাই,
কখনো মনে হয় তোমার থেকে বিকীর্ণ
তাপে আমার শরীর এক্ষনি পুড়ে যাবে।
তারপরও আমাদের একই সৌর জগতে বসবাস,
বৃষ্টির জল, ঝর জলোচ্ছাস শেষে
তোমার মোহনায় আমার নৌযান
নাব্যতা পায়,
দিনের শুরু হয় সেই অভয়ারণ্যে ।
© ১৬ মার্চ ২০২০, ২৩:৪৩
Posted on fb: Monday, March 16, 2020
No comments:
Post a Comment
to drop Your valuable Comment please mention your name (Click to arrow sign and select name/url)