Right Click n Copy Disabled

Ads block

Banner 728x90px

আমার কবিতা- 9


আমার কবিতা 🌿 page no.🌿 আমার কবিতা

** নিঃসঙ্গ উদযাপন**
-- নজরুল জা‌মিল


এই ভালো, রাত জাগা ঝিঁঝিঁ পোকাদের
গান শুনছি,
অন্ধকার আকাশে ছুটে বেড়ানো তারা‌দের
ভীড় গুনছি,
রোদ চশমা পরে নি‌ভে যাওয়া চাঁ‌দের
আলোয় হাঁটছি।
পাশে নেই, তবু আনমনে বলা তোমার
কথাই ভাবছি,
অস্ফুট স্বরে, একান্তভা‌বে অজান্তে নি‌জের
তোমায় ডাকছি।
অ‌নেক কথার ভী‌ড়ে কিছু বলতে বলতে
তুমি যেমনটা নির্বাক হয়ে যাও
এখানকার ঝিঝি পোকাগুলো চল‌তে চল‌তে
নিজের খেয়ালে ‌তেমন মিছিল ফেলে হঠাৎই লু‌কি‌য়ে যায়
পাতার দেয়া‌লে।
গভীর উন্মাদনার মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে তুমি
যেমন থমকে যাও
এ আকাশের তারারাও তেমন সুদূ‌র পথে
উড়তে উড়তে চুপ‌সে যায়।

** স্বপ্ন বিলাপ**
-- নজরুল জা‌মিল


এক জীবনে কত পোড়া যায়!
দুই দিগন্তের স্বপ্ন পোড়ালাম!
আগুনে খাক হল চোখের পল্লব।
একটা প্রশস্ত বুক সমান শীনার
এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত অবধি
নীল নদ দেখার তীব্র বাসনা
কিলবিল করত।
দম ফাটানো চিৎকার জুড়ে বলতে
ইচ্ছে করত,
-আমি এখানে ডুব সাঁতারে মগ্ন
থাকতে চাই,
-আমি তোমার জলে আকন্ঠ নিমজ্জিত
হতে চাই।

-আ‌মি তোমার স্প‌র্শের বাই‌রে থে‌কেই
ম‌নে হয় পু‌রোটা সুখের মায়াজালে
আট‌কে আ‌ছি।
এক পল‌ক চাহ‌নি‌র সাম‌নে প‌ড়েই
‌যেন ভয় ও কিছুটা গ্লা‌নি দূ‌রে ঠে‌লে
দ্বিগুণ উল্লাসে বাঁ‌চি।

* ‌চাহ‌নি
-- নজরুল জা‌মিল
কোন এক বসন্তে শ্রাবণ আমায় আলিঙ্গন করেছিল
কোন শরতে প্লাবন আমায় চুমু খেয়েছিল
কিন্তু হিমেল শুধু আমার দিকে তাকিয়ে থাকতো
অপলক, সে কখনই আমাকে স্পর্শ করেনি।

শ্রাবনের আদর হারিয়ে গেল রং-তামাশায়
প্লাবনের চুমু হারিয়ে গেল একদিন ছলনায়
কিন্তু হিমেলের চাহনিতে যে চুমুর ছাপ লেগে ছিল
আজও প্রতিটা দিন রাত আমায় তাড়িয়ে বেড়ায়।

  (আমেরিকান কবি সারা টিসডেল এর "দি লুক" কবিতার ভাবানুবাদ)

অপ্রকাশিত সঙ্কোচ
-- নজরুল জা‌মিল


আকাশ ছুঁতে চাইতে পারি
তবুও তোমায় ছোয়া যায়না।
চোখ বন্ধ করে তোমাকে ভাবা যায়,
নির্ভয়ে অলীক স্বপ্ন দেখা যায় না ।
বুকের গভীর থেকে তোমায় মনে করে
‌গোপ‌ণ দীর্ঘশ্বাস ফেলা যায়,
বুকের আলিঙ্গনে তোমাকে পাওয়া যায় না।
বৃষ্টিস্নাত হাতে তোমার দু চোখ মুছিয়ে দেয়া যায়
দুই হাত বাড়িয়ে তোমাকে ডাকা যায় না।
মুগ্ধ চোখে কিছুক্ষণ দেখা যায় ,
তোমার দিকে তাকিয়ে থাকা যায়,
প্রতিটা মুহূর্ত দেখার জন্য ছটফট করা যায় না।
ঠোঁট নেড়ে মৃদুস্বরে তোমায় ডাকা যায়,
উষ্ণ ঠোটের পরশ বিলানো যায় না।
বাঁকা চোখের চাহনিতে কাছে আসতে বলা যায়,
আমার সাথে প্রান্তরের মাঠ পেরোতে বলা যায় না।
তোমাকে নিয়ে ছোট্ট একটা কবিতা লেখা যায়,
প্রিয় শব্দগুচ্ছ দি‌য়ে তোমাকে স‌ম্বোধন করা যায় না।
‌বেলা দ্বিপ্রহ‌রে তোমার সা‌থে গল্প জমা‌তে পা‌রি
বি‌কে‌লের সূর্যাস্ত দেখ‌তে পা‌শে বস‌তে পা‌রি না।

মন বাড়িয়ে তোমাকে ছোঁয়া যায়
হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার ধৃষ্টতা করা যায় না।
আমার প্র‌তি‌ পদক্ষেপে জড়িয়ে আছে
আটপৌরে জীবন যাপনের তাচ্ছিল্য ও অবহেলা।

ভাষাহীন অনুভুতি
-- নজরুল জা‌মিল
চোখ দে‌খে য‌দি বোঝ
আমার চো‌খে অ‌নেক জল জ‌মে‌ছে,
‌সে জ‌লে প্লাবন নাম‌তে পা‌রে,
তা কি বোঝ!
অমন অশ‌নি সং‌কেত দে‌খে
দুই চার‌টে পদ্মা, ব্রহ্মার পা‌নি
‌বিপদসীমার উপ‌র দি‌য়ে বই‌তে পা‌রে
আকা‌শের তারা খসে পড়‌তে পা‌রে
তা কি বোঝ!

‌চো‌খের জল দে‌খে য‌দি বোঝ
এ জ‌লে আগুন লে‌গে‌ছে,
এ চো‌খ দাউ দাউ ক‌রে জ্বল‌ছে,
‌সে আগু‌নে তু‌মিও পুড়‌তে পার
তা কি বোঝ!
এ চোখ ক‌ষ্টের হি‌রো‌শিমা ব‌য়ে বেড়ায়
মাই‌লের পর মাইল
পুর‌ণো ক্ষত খা খা ক‌রে,
বু‌কের জ‌মি‌নে ক‌ষ্টেরা তোলপার ক‌রে
তা কি বোঝ?

‌চোখ দে‌খে য‌দি বুঝ‌তে পার
আ‌মি নির্ঘুম রাত পাহারা দেই,
‌সে রা‌তে আমার পা‌শে কষ্টরাও থা‌কে
তা কি বোঝ!
আমার চো‌খের পাতার ওপা‌শে
কষ্টরা ঘু‌মি‌য়ে থা‌কে
রা‌তের আধা‌রে তারা শব ঘা‌টে,
শ্মসা‌নের মরা খু‌লির ম‌ধ্যে
‌হিস‌হিস ক‌রে নিশ্বাস ছো‌ড়ে
তা কি বোঝ!

১২ মার্চ ২০১৯, ২৩:৪৩

No comments:

Post a Comment

to drop Your valuable Comment please mention your name (Click to arrow sign and select name/url)